www.alifbiddaniketon.com
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

আলিফ বিদ্যানিকেতন এন্ড কোচিং সেন্টার। 



“আলিফ বিদ্যানিকেতন এন্ড কোচিং সেন্টার” শিক্ষার এক বিশ্বস্ত ও অনুপ্রেরণামূলক নাম, যা ২০১৮ সালে এক ছোট্ট স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। শুরুতে এটি ছিল শুধুমাত্র একটি কোচিং সেন্টার, যেখানে মূলত ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হতো। উদ্দেশ্য ছিল এলাকার শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে তোলা।

প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অল্প—মাত্র কয়েকজন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই পরিশ্রমী শিক্ষক মণ্ডলী, আন্তরিক পাঠদান, এবং শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ধারাবাহিক উন্নতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। সাদামাটা পরিবেশেও শিক্ষার্থীরা যে মনোযোগী ও আনন্দময়ভাবে পড়াশোনা করতে পারত, সেটিই অভিভাবকদের আস্থা অর্জনের প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল, নৈতিক শিক্ষা, এবং ব্যক্তিগত যত্ন নেওয়ার এই অনন্য পদ্ধতি দ্রুতই “আলিফ বিদ্যানিকেতন এন্ড কোচিং সেন্টার”-কে এলাকায় একটি নির্ভরযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদা করে গাইড করার সংস্কৃতি এবং পরীক্ষার আগে বিশেষ প্রস্তুতি ক্লাসের ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।

আজ এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু একটি কোচিং সেন্টারের নাম নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের এক সোপান, যেখানে জ্ঞানের পাশাপাশি নৈতিকতা, শৃঙ্খলা এবং আত্মনির্ভরতার শিক্ষা দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ে রূপান্তর

ধারাবাহিক সফলতা, মানুষের ভালোবাসা ও শিক্ষার পরিধি বিস্তারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে, ২০২৫ সালে “আলিফ বিদ্যানিকেতন” একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এই নতুন যাত্রায় প্লে থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হয়, এবং কোচিং বিভাগটি বিদ্যালয়ের সহায়ক বিভাগ হিসেবে চালু থাকে।

 শিক্ষাব্যবস্থা

  • শ্রেণিসমূহ: প্লে, নার্সারি, ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত

  • অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান

  • নৈতিক শিক্ষা, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, এবং আধুনিক পাঠপদ্ধতি

  • প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি

 অর্জন ও সাফল্য

  • কোচিং পর্যায়ে বহু শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করেছে

  • বিদ্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে সন্তোষজনক ফলাফল

  • বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, বিজ্ঞান মেলা, ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ

 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

  • ডিজিটাল ক্লাসরুম ও অনলাইন শিক্ষা চালু করা

  • বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন

  • শিক্ষাবৃত্তি, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও গার্ডিয়ান সেমিনার আয়োজন


    উপসংহার

“আলিফ বিদ্যানিকেতন এন্ড কোচিং সেন্টার” আজ শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি আলোকবর্তিকা—যে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে ভবিষ্যতের পথ দেখাতে। কোচিং সেন্টার থেকে বিদ্যালয়ে রূপান্তর হয়ে এটি প্রমাণ করেছে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও নিষ্ঠা থাকলে যেকোনো স্বপ্নই বাস্তবে রূপ নিতে পারে।